খুলনায় খানজাহান সেতুটোল প্লাজায় টোল চাওয়ায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজনকে মারধরের মামলায় রূপসা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বিউটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়েছে।
সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার দুপুরে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ৫০-৬০ জনের একটি বহর নিয়ে রূপসা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বিউটি খুলনা শহরে তার মেয়ের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। খানজাহান সেতু টোল প্লাজায় পৌঁছালে দায়িত্বরা টোল পরিশোধ করতে বলে।
এ সময় টোল না দিয়ে বিউটি গাড়ি থেকে নেমে সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সিকিউরিটি গার্ড রবিউলের গায়ে হাত তোলেন তিনি। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশ এগিয়ে এলে নায়েক রাজিব হোসেনসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মারধর করেন বিউটি।
সেদিন রাতেই রূপসা থানায় বিউটিসহ ৫ থেকে ৭ জনকে আসামি করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। এরপর পরই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
খুলনার রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, 'সেদিন অভিযুক্তরা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের জামার সোল্ডার টেনে ছিঁড়ে ফেলে। সরকারি কাজে বাধা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে আমরা একটি মামলা নিয়েছি।'
দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এমন কাজ অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী দোষী প্রমাণ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, আমরা এ ধরনের কোন ঘটনা দেখতে চাই না। তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে দলও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
বিউটির স্বামী মফিজুল ইসলাম রূপসা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাড়াও রূপসা টেম্পু অটোটেম্পু মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। 

