ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়া, চীন চায় বিদায়

 Downloadd Banner

 

আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে যে কয়েকটি দেশ প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে চীন, রাশিয়া এবং ইরান রয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক উইলিয়াম ইভানিয়া এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। বলেন, মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিদেশি শক্তিগুলো গোপনে- প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে।


তিনি বলেন, বেইজিং চায় না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হন। রাশিয়া চায় ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনকে হারাতে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তেক্ষেপ করেছিল বলেও অভিযোগ করেন গোয়েন্দা প্রধান।

গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, রাশিয়া ট্রাম্পের পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালাতে চায়। এক্ষেত্রে অনলাইনে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে মস্কোর। তবে পুতিন প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রশাসন বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

মেইলের মাধ্যমে বা পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণকে ট্রাম্প যখন ভয়াবহ পরিকল্পনা বলে আখ্যা দিয়েছেন তখনই গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এমন সতর্কবার্তা এলো। মেইলে ভোট গ্রহণকে ত্রুটিপূর্ণ ও প্রতারণাপূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন পেছানোর। যদিও এ দাবি তার নিজ দলেই ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।

নভেম্বরের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে সাধারণ জনগণকে কোনো তথ্য দিচ্ছে না মার্কিন গোয়েন্দা। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল ডেমোক্রেট দলীয় আইনপ্রণেতাদের। এরমধ্যেই বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে প্রকাশ্যে তথ্য দিল মার্কিন ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার। 

দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার  প্রতিপক্ষ সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন।

শুক্রবার বিবৃতিতে উইলিয়াম ইভানিয়া বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো মার্কিনদের পছন্দকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। মার্কিননীতি তারা পরিবর্তন করতে চায়। বাড়াতে চায় বিভেদ। গণতন্ত্রের ওপর মার্কিনদের আস্থাকে দুর্বল করতে চায়। তবে বিদেশি শক্তির দ্বারা ভোটের ফলে হেরফের করা কঠিন হবে বলেও মন্ত্যব্য করেন তিনি।

‘অনেক দেশ নির্বাচনে কে জিতবে তাকে প্রধান্য দিচ্ছে। আর হস্তক্ষেপের তালিকায় শুরুতে রয়েছে চীন, রাশিয়া এবং ইরান।’ তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক বলেও জানান উইলিয়াম।

বলেন, ‘চীন চাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেন অপ্রত্যাশিতভাবেও জয়ী হতে না পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে কাজ করছে বেইজিং।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেনসহ রাশিয়াবিরোধীদের পরাজয় নিশ্চিত করতে চায় মস্কো। একইসঙ্গে ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিতে সামাজিক মাধ্যম এবং রুশ গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করছে পুতিন প্রশাসন।’

‘মার্কিন গণতন্ত্র এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কলঙ্কিত করতে চায় ইরান। অনলাইনে ভুল এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী তথ্য প্রচারের মাধ্যমে দেশটিতে বিভেদ তৈরি করতে চায় তেহরান। তেহরানের ধারণা, দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হলে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি আরো জোরালো করবেন ট্রাম্প। দেশটির শাসন ব্যবস্থা পাল্টাতে ট্রাম্প তৎপরতা বাড়াতে পারেন বলেও ইরানের ধারণা।’ বলেন উইলিয়াম।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া এ বছরের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে মস্কো তাকে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হতে সহায়তা করতে পারে- এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, কাউকে না পেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চাইবে রাশিয়া। তিনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমরা মতো কঠোর আর কেউ হয়নি।

‘নির্বাচনে হারলে খুশি হবে চীন। বাইডেন যদি জিতে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের মালিক হবে বেইজিং।’ বলেন ট্রাম্প।

মার্কিন নির্বাচনে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগ প্রকাশের পর ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার তাদের গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করে। বুধবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন,মার্কিন নির্বাচননে প্রভাব খাটানেরা জন্য বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ চেষ্টার বিষয়ে জনগণকে পর্যাপ্ত তথ্য দেয়ার দায়িত্ব গোয়েন্দার সংস্থা।

বিবৃতিতে উইলিয়াম বলেন, তার সংস্থা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের হুমকি বিষয়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিকদের সব সময় তথ্য দিয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ এবং সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে তথ্য দিতে পারা গোয়েন্দা সংস্থার জন্য গৌরবের বলেও মন্ত্যব্য করেন তিনি।

বেশ কয়েটি গোয়েন্দা সংস্থা এবং তাদের কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া প্রভাব বিস্তারে সহায়তা করেছে। সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুয়েলারকে বিশেষ পরামর্শক করে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। মুয়েলার তার প্রতিবেদনে নির্বাচনে হস্তক্ষেপে ট্রাম্পের আঁতাতের বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। একইসঙ্গে অভিযোগ থেকে ট্রাম্পকে দায়মুক্তিও দেয়নি মুয়েলারের তদন্ত রিপোর্ট।

তদন্তে অসহযোগিতা এবং মিথ্যা তথ্য দেয়ায় ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের কয়েকজন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিশেল ফ্লিকে রুশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ মাসের শেষের দিকে আদালতে আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের বন্ধু রজার স্টোনকেও কারাদণ্ড দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সাক্ষীকে ঘুষ দিয়েছেন এবং কংগ্রেসের শুনানিতে মিথ্যা বলেছেন। যদিও জুলাইতে রজার স্টোনের কারাদণ্ড মওকুফ করে দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Show More
Featured Theme

mmasudrana.com'Updates of Our Website are Used For Personal Use, so Please do Not Use it Without Permission...


Listener question: ‘How do I set up a private website only my family can see?’There are plenty of ways for friends and family to stay in contact during the pandemic,.but when it involves many people, it can quickly become overwhelming. Not everybody is on social media,and we take for granted that most people seemingly know how it works. “What is the easiest way to keep up to date with everyone? We would also like to archive and share family photos and stories handed down. We also have quite a bank of genealogy research completed on both sides of the family,”