করোনো প্রতিরোধে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো দূরের কথা উল্টো দেশের প্রতি ছয়জনের একজন ভুগছেন অপুষ্টিতে। দারিদ্র্যতা, খাবারের দাম বাড়ার পাশাপাশি অজ্ঞতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর জাতীয় পুষ্টি ইনস্টিটিউট সীমাবদ্ধ শুধু প্রচার-প্রচারণায়।
জীবন বাঁচাতে তিন বেলা ডাল-ভাত জুটাতেই প্রতিনিয়ত যুদ্ধে নামতে হয় এসব মানুষদের, সেখানে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো কথা বলা, অনেকটাই যেন পরিহাসের মতো শোনায়।
জাতিসংঘের এফএও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইএফডি’র প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের ২০০৪-০৬ সালে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ, ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখে। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ বিপুল সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যের কারণে পুষ্টিকর খাবার জোগান দিতে পারছে না।
আরো পড়ুনঃ ‘করোনার চেয়েও অনাহার-অপুষ্টিতে মৃত্যু হবে বেশি’
গবেষকরা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়া এই শ্রেণির মানুষ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় পণ্য কম খায় আবার সাধারণ খাবারও পরিমাণে কম খায়। অপুষ্টিকর খাবার খেতে বাধ্য হয় তারা। এছাড়া আছে ভেজাল ও অনিরাপদ খাবারের দৌরাত্ম্য।
করোনাকালে যেখানে প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম, দুধ, প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, রসালো ফল রাখতে সেখানে বাংলাদেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা এই মানুষগুলোর খাদ্য তালিকায় খুব সামান্যই জোটে।
ড. সুমাইয়া মামুন বলেন, ভেজাল বা যে কোনো কেমিকেলমুক্ত খাদ্য সেটা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ‘দেশের প্রতি ছয়জনের একজন অপুষ্টিতে ভুগছে’
জাতীয়তা পুষ্টি ইনস্টিটিউট বলছে, প্রতিটি উপজেলায় পুষ্টি ইউনিটের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ভিটামিন জাতীয় ওষুধ সরবরাহ করেন তারা।
জাতীয়তা পুষ্টি ইনস্টিটিউট পরিচালক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ২৬১ উপজেলায় পুষ্টি ইনস্টিটিউট আছে। এখানে বিভিন্ন রকমের ট্যাবলেট আছে যা আমরা বিতরণ করি।
এছাড়া দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালণ করা হয় বলেও জানান এ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

